স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুর্নীতি ও অনিয়ম বর্তমানে দূর্নীতিবাজদের রক্তের সাথে মিশে গেছে। এক শ্রেণী সরকারী কর্মকর্তাদের সেল্টারে মাঠ পর্যায়ে দূর্নীতি ও অনিয়ম সুকৌশলে সরকারী অর্থ লুটপাট দিন দিন বেড়েই চলছে। সুষ্ঠ মানসিকতা ছাড়া দূর্নীতি থেকে বেড়িয়ে আসা সম্ভব নয়। তারই দ্বারা বাহিকতার সন্ধান মিলেছে মুক্তাগাছা পৌর ভূমি অফিসে। পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম কতিপয় ভূমি দস্যুদের যোগসাজোশে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তিনি অন লাইন ই-সেবা মিউটেশন ফাইল নিস্পত্তিতে হাতিয়ে নিচ্ছেন ভান্ডিল ভান্ডিল টাকা। অনুসন্ধান সুত্রে জানা যায়, মুক্তাগাছা নতুন বাজারস্থ ত্রিমোহিনীর লুৎফর রহমান ফুয়াদ তার জমি নিউটেশন বাবদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন। পাড়াটঙ্গী মৌজার হেলাল উদ্দিন মিউটেশন ফাইল বাবদ ১৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। উল্লেখ্য জমির খাজনার দাখিলা কর্তনে দেখা মিলে শুভঙ্করের ফাঁকি। টাকা নেন ৩৫ হাজার রসিদ দেন ৪ হাজার টাকার। এ রকম স্বচিত্র সিন্ডিকেটদের নিত্যকার ঘটনা। সরকারী সেবা খাতের গুরুত্বপূর্ন এ অফিসটিতে সাধারণ সেবা গ্রহীতরা হচ্ছেন সেবা থেকে বঞ্চিত। যেখানে ঘুষ দিলে সেবা মিলে অন্যথায় হয়রানী । উল্লেখিত বিষয়ে তার ০১৬৮৪২৪১১২৮ নাম্বারে ফোন করে জানতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি। বিশ্বের জনপ্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দূর্নীতিতে আপোষহীন তিনি দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতিতে অবস্থান করছেন । অপরদিকে মুক্তাগাছা পৌর ভূমি অফিসটি দূর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের আখড়ায় পরিণত করে তুলছেন। দূর্নীতি দমন কমিশন প্রশাসনের বিভিন্ন সেক্টরে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত করলেও ভূমি অফিসে এর তেমন ছুয়া লাগেনী। মুক্তাগাছা পৌর ভূমি অফিসে দুর্নীতির পরিমান ব্যাপক আকার ধারণ করায় কমিশনের গোয়েন্দা ইউনিট কর্তৃক অভিযান পরিচালিত হলে দূর্নীতির হাতে নাতে প্রমানসহ দেশ ও জনগণ উপকৃত হবেন বলে সচেতন মহলের দাবী। (চলবে)